পড়ার রুটিন - সত্যিই কি জরুরী?

একাডেমিক পড়াশোনা করতে আমাদের সবারই কমবেশি বিরক্তি লাগে ।
আর যদি কোনো সাবজেক্ট কঠিন হয় তবে তো কথাই নেই ।
পরীক্ষা ছাড়া আর সেই বই ধরতে মন চায় না ।
এতে করে দেখা যায় আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয় । তাহলে এর সমাধান কি?

Alarm clock

অধিকাংশ উত্তর হলো পড়ার জন্য রুটিন করা । আসলেই কি রুটিন করলে
কোনো কাজ হয় । নাকি শুধুই সান্ত্বনা ।
উত্তর হলো কাজ হয় । বেশ ভালো রকম কাজে দেয় ডেইলি রুটিন ।
কেননা রুটিনে
*নিজের পছন্দমত সময় ভাগ করে নেওয়া যায় ।
*সব সাবজেক্ট কভার করা যায় ।
*কোনটা পড়বো কোনটা পড়বো না এ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না ।




রুটিন কি?
রুটিন হচ্ছে প্রতিদিন কাজের একটি ধারাবাহিক চার্ট ।
তবে পড়ার রুটিন বলতে কোন কোন সাবজেক্ট কতক্ষন পড়বো তাই বুঝায় ।
কিভাবে রুটিন করবো?
খুবই সহজ । অবশ্যই নিজের রুটিন নিজে করতে হবে । কেননা তুমিই
সবচেয়ে ভালো জানো তোমার সময়ের ব্যাপারে ।
এক্ষেত্রে প্রথমে যত গুলো সাবজেক্ট আছে তার একটি রাফ লিস্ট করো ।
এর পর সময় ঠিক করো । যেমন ঠিক সকাল কয়টায় ঘুম থেকে উঠো আর
কয়টায় ঘুমাতে যাও । এর পর দেখো মোট কত ঘন্টা পাও ।
তবে কমপক্ষে সাবজেক্ট প্রতি ৪০মিনিট রাখবে এবং সর্বোচ্চ ১ঘণ্টা১০মিনিট(গণিত,ইংরেজি)।
কখনোই টানা দুইটা সাবজেক্ট পরপর পড়বে না । মাঝখানে ৫-১০মিনিট এর
বিরতি রাখবে ।
এরপরে ধারাবাহিক ভাবে সকালের দিকে কঠিন সাবজেক্ট দিয়ে শুরু
করবে । কেননা সকাল বেলা ব্রেইন ফ্রেশ থাকে । দুপুর বা সন্ধ্যার দিকে
বাংলা বা অন্যান্য সহজ সাবজেক্ট রাখবে ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য । আশা করি কিছুটা হলেও উপকার হবে ।





Post a Comment

Previous Post Next Post