"মোগলি" এর গল্প তো আমরা সবাই জানি । জঙ্গলে নেকড়েদের সাথে বেড়ে উঠা এক নেকড়ে মানব ।
কিন্তু ভারতে সত্যি একজন মোগলির খোঁজ পাওয়া যায় । আজকে জানবো সেই সত্যিকারের মোগলি সম্পর্কে ।
১৮৬৭ সালে একদল শিকারি দেখতে পায়,মানুষের মতো কিছু একটা একদল নেকড়ের আগে আগে দৌড়ে
যাচ্ছিলো । যে কিনা ৪হাত পায়ের উপর ভর করেই চলছিল ।
কেউই জানতো না কিভাবে সে নেকড়ে দলে ঢুকেছিলো । কিন্তু বোঝাই যাচ্ছিল যে সে নেকড়েদের সাথেই লালিত পালিত হয়েছে ।
শিকারিরা সিদ্ধান্ত নেয় তারা ছেলেটিকে অপহরণ করবে এবং মানব সমাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ।
তো তারা ছেলেটিকে একটি নেকড়ের সাথে পাহাড়ের গুহায় ঘুমন্ত অবস্থায় খুঁজে পায় ।
শিকারিরা তার চারপাশে ধোয়া ছড়িয়ে দেয় । আর নেকড়ে টিকে মেরে ফেলে ।
মাত্র ৬ বছরের ছেলেটিকে তারা আগ্রার একটি অনাথ আশ্রম এ দিয়ে দেয় । সেখানে ছেলেটি খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত
হয় । তার নাম রাখা হয় ডিনা সানিচার ।
কোনো রকম পোশাক পড়তেও সে পছন্দ করতো না । কথা বলার বদলে গর্জন করতো ।
তবে দ্রুতই তার মানব স্বভাব প্রকাশ পেতে থাকে । সে টুকটাক কাজ করতে পারতো । আশ্রম এর লোকজনের
সহযোগিতায় সে দুই পায়ে ভর করে হাঁটতে শিখে । ধীরে ধীরে রান্না করা খাবার খেতে শুরু করে । এমনকি
কিভাবে জামা কাপড় পরিধান করে সেটাও শিখে ।
কিন্তু তারপরও সে মানব সমাজ ও বন্য সমাজ এর মাঝামাঝি ছিল । মানুষজনের সাথে মিশতে চাইতো না ।
তার একমাত্র বন্ধুটিও ছিলো আরেক বন্য শিশু । তারা দুইজনেই পশুদের সাথে বেড়ে উঠেছিল ।
মানুষের একটি অভ্যাস ই সে ভালোমতো শিখেছিল , ধূমপান । ডিনা দ্রুতই এতে আসক্ত হয়ে পড়ে । ৩৪ বছর বয়সে যক্ষা রোগে সে মারা যায় ।
তার এই ঘটনাই কি Rudyard Kipling কে "মোগলি" লিখতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল ?
লেখক এর জন্ম ভারতেই । তিনি ১৮৮২ সাল পর্যন্ত ভারতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিল । সম্ভবত তিনি ডিনা সানিচার এর ঘটনা জানতেন । এছাড়া পশুদের সাথে বেড়ে উঠা আরও একটি শিশু নিয়েও ভিন্ন গল্প প্রচলিত ছিলো ।
নেকড়ে মানব মোগলি ছিলো "The Jungle Book" এর অন্যতম চরিত্র । বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ সালে । রাতারাতি এটি শিশু সাহিত্যে ক্লাসিক এর মর্যাদা লাভ করে ।
Wow nice info
ReplyDelete