আমরা প্রতিদিন কাজ করি—কখনো অফিসে, কখনো অনলাইনে, আবার কেউ নিজের ব্যবসায়। কিন্তু কাজের চাপ, সহকর্মীদের ভিন্ন মনোভাব বা নেতিবাচক পরিবেশ অনেক সময় আমাদের মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক মনোভাব (Positive Attitude) ধরে রাখা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং কর্মজীবনের সাফল্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করুন
কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নানা কারনে আসতে পারে । নেতিবাচক চিন্তা আসবেই—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, সেটাই আসল।- প্রতিটি সমস্যাকে “শিক্ষার সুযোগ” হিসেবে দেখার চেষ্টা করুন।
- “আমি পারব না” নয়, ভাবুন “আমি চেষ্টা করব”।
- প্রতিদিন সকালে ইতিবাচক কিছু কথা নিজেকে বলুন (affirmation)।
কৃতজ্ঞতার অভ্যাস গড়ে তুলুন
যে বিষয়গুলো ভালো চলছে সেগুলো মনে রাখা শেখুন।- প্রতিদিন ২ মিনিট সময় নিয়ে তিনটি বিষয় লিখুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ।
- এটি মনকে শান্ত রাখে এবং স্ট্রেস কমায়।
ইতিবাচক সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান
আমাদের চারপাশেই বিভিন্ন ধরনের লোক দেখা যায় । নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলা সম্ভব না হলেও, আপনি বেছে নিতে পারেন কার সঙ্গে বেশি সময় কাটাবেন।- অনুপ্রেরণাদায়ক সহকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।
- অফিসে গসিপ বা নালিশে জড়াবেন না।
- প্রশংসা করতে শিখুন—এটা পরিবেশকে উষ্ণ করে তোলে।
বিরতি ও আত্ম-যত্নকে গুরুত্ব দিন
একটানা কাজ করলে মন ক্লান্ত হয়, আর ক্লান্ত মন কখনোই ইতিবাচক হতে পারে না।- নিয়মিত বিরতি নিন, কিছুক্ষণ হাঁটুন বা চা খান।
- অফিস শেষে নিজেকে সময় দিন—পছন্দের বই, গান বা পরিবারকে সময় দিন।
ছোট সাফল্য উদযাপন করুন
সব সময় বড় অর্জনের অপেক্ষা করবেন না।- প্রতিদিনের ছোট সাফল্যগুলোও নিজের কাছে মূল্যবান করে তুলুন।
- নিজের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিন, এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং মনোভাব ইতিবাচক হয়।
ইতিবাচক মনোভাবই পেশাগত সাফল্যের প্রথম ধাপ।
Tags:
লাইফস্টাইল ও অনুপ্রেরণা
